শহীদ মিনার ভাংচুরকারী আর কথিত বিকৃত মস্তিস্কের ব্লগারদের বিচার চাই
শহীদ মিনার ভাংচুরকারী আর
কথিত বিকৃত মস্তিস্কের ব্লগারদের বিচার চাই
আহমদ আল হুসাইন
হযরত মোহাম্মদকে (সা.)
নিয়ে ব্লগারদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে এবং ইসলামী দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধের
প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল
ইসলামী সমমনা ১২ দল । এটাকেই মোক্ষম সুযোগ হিসেবে লুফে নেয় দেয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া
জামাতিরা । জামাত শিবিররা এসব দলের চিপায় চাপায় ঢুকে পরে । হেফাজতে ইসলাম ,
ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দলনের ব্যানারে ব্যাপক
সহিংসতা চালায় । ভেঙ্গে ফেলে ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার , যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসির দাবিতে নির্মিত গণজাগরণ মঞ্চ । ছিঁড়ে
ফেলেছে বুকের আকাশে পত পত করে উড়া লাল সবুজের পতাকা ।
অতিরিক্ত কোন কিছুরই
ফলাফল ভালো হয় না মোটেও । বেশি টাইট দিলে নাটের প্যাচ যেমন কেটে যায় , আকজের এই সহিংসতা ই তার একটা প্রতিবিম্ব । শাহবাগের গণজাগরণ
ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে উজ্জীবিত হয়ে জেগে উঠার আন্দোলন । জামাত শিবিরের
বিরুদ্ধে গণমানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলন । দল মত নির্বিশেষে সবাই যে যার
অবস্থান থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ
করেছিল এই আন্দোলনে । শাহবাগের এই গণজাগরণ , এই আন্দোলন ইসলামের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন ছিল না । সবাই
কুলাঙ্গার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চেয়েছিল এবং চায় । এখনও চায় । ফাঁসি না হওয়া
পর্যন্ত এই চাওয়া থাকবে দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে , হৃদয়ের গহিনে , চিন্তা চেতনায় । থাকবে তাদের অস্তি মজ্জায় , রক্তে মাংশে । অথচ কিছু নাবালক , মানসিক ভারসাম্যহীন নাস্তিক ব্লগাররা জামাত শিবিরের বিপক্ষে
অবস্থান নিতে গিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে । আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ ) এর
সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে , ব্লগ লিখে সাধারণ ধর্মানুরাগী মানুষদের খেপিয়ে তুলেছে । ইসলামী দলের কিছু
নাবালক সদস্য শহীদ মিনার ভাংচুর করে এবং জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এর
জন্য আজকের এই ধৃষ্টতাপূর্ণ সহিংসতার ফায়দা লুটেছে জামার শিবির । বিক্ষোভকারী সাধারণ ধর্মানুরাগী , ইমাম মুসল্লিদের যুদ্ধাপরাধীর পক্ষের কাতারে দাড় করাতে সক্ষম হয়েছে জামাতিরা ।
আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ ) কে কটূক্তি করায় যেমন খেপেছে সাধারণ ধর্মানুরাগীরা তেমন ই
শহীদ মিনার , গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলায় সাধারণ জনতা খেপেছে । আস্তিক
নাস্তিক সবাই রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চায় । কিন্তু পণ্ডিত কিছু নাস্তিক দেশ
কে এই দুই দলে বিভক্ত করে ছাড়ল । শেয়াল পণ্ডিত ব্লগাররাই অনেকটা দায়ী ।
''আব্দুল হান্নান (৪০)।
রাজধানীর নূরের চালার এই বাসিন্দা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় মিছিলে অংশ
নেওয়ার জন্য শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বারিধারার বাঁশতলা থেকে উঠেন
গুলিস্থানগামী বন্ধু পরিবহনে। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন জন । বায়তুল মোকাররম এলাকায়
আসার জন্য ওই বাসে কৌতুহল বশতঃ কোথায় যাচ্ছেন, জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে জানা যায়, বায়তুল মোকাররম। কেন- প্রশ্ন করলে জানায়, ‘ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগে আন্দোলন চলছে। আর রাজিব নামের যে
মারা গেছে সে মহানবী ও কোরআন সম্পর্কে অবমাননাকর কথা লিখেছে । ‘শুনেছি ব্লগ আর ইন্টারনেটে কি সব লেখা হয়েছে’ আপনি দেখেছেন- হান্নানের উত্তর ‘ব্লগ-ইন্টারনেট বুঝি না, হুজুর ডেকেছেন তাই যাচ্ছি।’ কোন হুজুর ডেকেছে- প্রশ্ন করলে তিনি হুজুরের নাম বলেন নি।
উল্টো অর্ধশিক্ষিত হান্নানের সঙ্গে থাকা অপর তিন জন রেজাউল, আলম এবং শহিদ তর্ক শুরু করে দেয় বাসের অন্য যাত্রীদের সঙ্গে''। এলাকার মসজিদের
ইমামের ডাকে আসা এসব অল্প শিক্ষিত মানুষেরা শহীদ মিনার , জাতীয় পতাকা আর গণজাগরণ মঞ্চের মরম বুঝে না একটুকুও । জামাত শিবিরের দেখা দেখি
তাণ্ডব লীলায় মেতেছে সল্প শিক্ষিত এসব ধর্মানুরাগী সাধারণ মানুষ । অপরাধ করেছে
অসাধারণ ।
সারা দেশে অনেক শহীদ
মিনার আর গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে । এসব তাণ্ডব উল্লাসে মেতেছিল মসজিদের
স্বয়ং ইমামও । নাটোরে শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখে হাসিনা ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের ছবি
সংবলিত ব্যানার ও ভাঙচুর করে বিক্ষভকারিরা । ভেঙ্গে ফেলে গণজাগরণ মঞ্চ । ব্যাপার
টা এখন এম্ন দাঁড়ালো যে যারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করছে তারা
নাস্তিক আর যারা ধর্মানুরাগী তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি । ধরমানুভুতিতে
আঘাত করে সাধারণ মুসলমানদের কে যারা খেপিয়ে দিয়েছে আবার যারা শহীদ মিনার , গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে দিয়েছে , জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছে সবাই কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে
সাজা দেওয়া অত্যাবশ্যক ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন