ঝাঁকির ফল ফুর্তির হয় , চলো ঝাঁকাই

 ঝাঁকির ফল ফুর্তির হয় , চলো ঝাঁকাই
আহমদ আল হুসাইন


ঝাকাঝাকিতে বেশ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ  । সেই সাথে এগিয়েছে বাংলাদেশের তরুণ তরুণীরা । আনন্দ বিনোদনের একমাত্র খোরাক এখন এই ঝাঁকাঝাঁকি ই । যে যত বেশি ঝাঁকাতে পারবে সেই তত বেশি স্মার্ট । নিজেকে স্মার্ট হিসেবে উপস্থাপন করতে আগ্রহি সবাই । তাই এই ঝাঁকাঝাঁকি তে কেউ ই পিছিয়ে নেই ।

ক' দিন আগেই ঝাঁকাঝাঁকি তত্ত্ব আবিস্কার করে পৃথিবী জুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন বাংলাদেশের সরকারি দলের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মন্ত্রি । এই ঝাঁকাঝাঁকির মডেল উদ্ভাবন করতে গিয়ে সেই মন্ত্রি কে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে । পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই উৎরাই আর পাহাড়সম বাঁধা বিপত্তি । এই তত্ত্ব আবিষ্কারের পরে সাড়া পড়ে যায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে । চেতনাব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক আর বুদ্ধিজীবীরাও এই ঝাঁকাঝাঁকি মন্ত্রির উদ্ভাবনী শক্তি দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন । কিন্তু ক্লাস ফাইভে পড়া দুষ্টু ছেলের দল এই তত্তের নেপথ্যের মূলমন্ত্র খুব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিল । তাই কয়েকজন বন্ধু মিলে স্কুলের বারান্দার পিলার ধরে ঝাঁকাঝাঁকি খেলায় লিপ্ত হয়েছে ।


এরপর থেকে ই ঝাঁকাঝাঁকি পেয়েছে নতুন মাত্রা । সেই সাথে পেয়েছে জনপ্রিয়তাও । যে যার মত যেখানে সেখানে ঝাঁকিঝাঁকি নিয়ে নতুন নতুন থিউরি দেওয়া শুরু করেছেন । অনেক থিউরি না দিয়ে ঝাঁকিয়েই দেখাচ্ছেন । পিলার ঝাঁকুনি এখন অন্যত্র মোড় নিয়েছে । ঝাঁকাঝাঁকি তার আসল গতিপথ থেকে ছিটকে পড়েছে । রাস্তা-ঘাট, ফুটপাথ, ভার্সিটির ক্যাম্পাস আর যে কোন ডিজে পার্টিতে ই এখন দেদারছে চলছে ঝাঁকাঝাঁকি । ''প্রান ম্যাঙ্গ ফ্রুটো ড্রিংক'' এনেছে ঝাঁকাঝাঁকির এক নতুন সমীকরণ । ঝাঁকির ফল ফুর্তি হয় , চলো ঝাঁকাই । সত্যি ই তাই । ঝাঁকাঝাঁকি করতেও মজা । দেখতেও আর বেশি মজা । সবার জীবনেই ঝাঁকাঝাঁকির বন্যা বয়ে যাক ।

(ঝাঁকাঝাঁকি তত্ত্ব নিয়ে কেউ ভুল বুঝবেন না )

মন্তব্যসমূহ