সাভার ট্রাজেডির বুকের উপর পা দিয়ে লাশ গুমের পায়তারা
সাভার ট্রাজেডির বুকের উপর পা দিয়ে লাশ গুমের পায়তারা
আহমদ আল হুসাইন
স্বজনদের আর্তনাদ আর বুক ফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে সাভারের চারপাশের পরিবেশ । উদ্ধার কাজ যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের মিছিল। সরকারি ভাষ্যমতে ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬ টি মৃতদেহ ও দেড় শতাধিক আহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে । স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে এখন পর্যন্ত ১৭৬ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে লাশ গুম করার অভিযোগও উঠছে ।
নিখোঁজদের স্বজনদের দাবি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারের পর লাশ সরিয়ে ফেলছে লাঠি বহনকারি একদল তরুন। এদিকে স্থানিয় একটি হাসপাতালের গোপন কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা মিলেছে অগনিত লাশের। এমনকি বেওয়ারিশ লাশ বহনকারি প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের অন্তত ১০টি বড় লাশবাহি গাড়ি অবস্থান করতে দেখা গেছে হাসপাতাল এলাকায়।
বিজিএমইএর তথ্যমতে , রানা প্লাজার ওই ভবনে ২,৬৩৮ জন কর্মী কর্মরত অবস্থায় ছিলো । এর মধ্যে ৩য় তলায় – ৮৭৫ জন , ৪র্থ তলায় – ৪৯৫ জন , ৫ম তলায় – ৪৭৮ জন , ৬ষ্ঠ তলায় – ৩৪০ জন, ৭ম তলায় – ৪৫০ জন কর্মরত ছিলেন ।
কর্মরত শ্রমিকদের সংখ্যা যেহেতু জানা আছে তাই নিহত আর আহতের সংখ্যার সহজ সমীকরণ দ্বার করালেই লাশ গুমের সমকরণ উকি মারবে । ঘটনা যা হবার তা তো হয়েছেই । লাশ গুম করে নিহতের সংখ্যা কমিয়ে আসলে কোন পক্ষ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে ? সরকার না বিজিএমই ? আর লাঠি বহনকারি তরুনরা কারা ? কি উদ্দেশে তারা লাশ চুরির খেলায় মেতেছে ? লাশ নিয়ে রাজনীতি না করে স্বজনদের কাছে লাশ ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ই আশা করছি ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন