সুখের স্মৃতিগুলোই হয়ে ওঠে বিদ্রোহী
আহমদ আল হুসাইন
জীবনের সুখকর স্মৃতিও এক সময় আত্মঘাতী হয়ে ওঠে । জীবন আর জীবনের কঠিন
সব বাস্তবতাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে অতীত স্মৃতিগুলো কখনো কখনো সেই মানুষটা কে বিধ্বস্ত
করার আজব খেলায় মেতে ওঠে । একে পরাস্ত করা সত্যি ই কঠিন ।
কিছু কিছু স্মৃতি বিষাক্ত ইনজেকশনের মত । একবার পুশ দিলেই যথেষ্ট ।
পুরনো সেই সব কথাগুলো , সেই সব মুহূর্ত গুলো খুব সহজেই ভেসে ওঠে মনের
স্বচ্ছ মনিটরে । চেহারার রঙ বদলে যায় । বদলে যায় অনুভূতির রঙ্গও । আর এভাবেই ক্রমশ
বদলাতে থাকে জীবনের রঙ আর রঙধনু ।
মানুষের জীবনের কোন একটা ধাপে এসে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত, কিছু ভাললাগা আর
উপলব্ধি এসে ধরা দেয় অবলীলায় । হাতছানি দেয় স্বপ্নের এক নতুন পৃথিবী । ভাবনার জগতে
উকি দেয় অনুভুতিরা । চোখের সাদা গ্লাসও হয়ে উঠে রঙিন ।
স্মৃতিরা বড়ই অদ্ভুত । এদের পোষ মানানো দুষ্কর । আবার থেকে মুক্তি
পাওয়ারও কোন পথ নেই । জীবনের ভাঁজে ভাঁজে মিশে যায় এরা । জীবনের কিছু টা পথ পাড়ি
দেওয়ার পরে এরাই হয়ে ওঠে জীবন কিংবা জীবনের পরম পাথেয় ।
স্মৃতিরা হাঁসাতেও পারে , কাঁদাতেও পারে । তবে দুঃখের স্মৃতিগুলো
অনেক দুর্বল । মনের আর্কাইভে এদের খুব একটা ঠাই হয় না । দুঃখের স্মৃতি কেউ ই মনে
রাখে না । রাখতে চায়ও না ।
সুখের স্মৃতিগুলোই একটা সময় বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । বারবার সেই
মুহূর্তগুলো কে জীবনের সামনে এনে দাড় করিয়ে দেয় । বাস্তবতার সামনে এসে শত্রু হয়ে
দাড়ায় । এর সাথে মোকাবেলা করতে করতে জীবন টা হাঁপিয়ে ওঠে । একটা সময় জীবন টা পরাজয়
মেনে নেয়। নিতে বাধ্য হয় । তখন তো আর জীবন , জীবন থাকে না ।
জীবন হয়ে উঠে ধু ধু বালুচর কিংবা মরীচিকা ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন